করোনাভাইরাস নিয়ে যে কাজগুলো করা উচিত নয়
করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি বড় স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনো এর সঠিক নিরাময়ব্যবস্থা বের না হওয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত রোগকে ঘিরে অনেক কল্পনা চলছে। এ রোগে বিশ্বজুড়ে ৩০০০ মানুষ মারা গেছে। গত বছরে চীনের হুবেই প্রদেশে এ ভাইরাসের তথ্য জানানো হয়। এটি পরে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস নামে পরিচিত হয়ে ওঠে এবং চীনের বাইরে ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে মানুষ নানা উপায় খুঁজছে। এ সুযোগে অনলাইনে অনেক ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা।
* করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর ফেস মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। এতে মাস্কের দাম ও চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে। এ সুযোগ নিচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। অনলাইনে যেসব বিজ্ঞাপন দেখেন, এর বেশির ভাগই ভুয়া।
* অনলাইনে করোনাভাইরাস সুরক্ষায় কোনো ওষুধের খোঁজ করবেন না বা কোনো ওষুধ অনলাইনে থেকে কিনবেন না। করোনাভাইরাস ঠেকানোর ওষুধ হিসেবে দাবি করা পোস্টগুলো ভুয়া। অনেক সময় অনলাইনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী তেল, পানীয় বা নানা খাবারের কথা বলে বিজ্ঞাপন পোস্ট করা হচ্ছে। এখনো যেহেতু করোনাভাইরাস ঠেকানোর নির্ভরযোগ্য কোনো ওষুধের কথা বলা হয়নি, তাই এসব পণ্যের ওপর ভরসা করবেন না। এগুলো অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল।
* সন্দেহজনক বা ক্লিকবেইট ওয়েবসাইটগুলোয় করোনাভাইরাস নিয়ে পোস্ট করা তথ্য পড়তে যাবেন না। এতে আপনি বিভ্রান্ত হবেন। অনেক সময় ভুয়া ও আজগুবি তথ্য দিয়ে আপনাকে সাইটে বেশিক্ষণ ধরে রাখার চেষ্টা করবে। এ ছাড়া নানা কৌশলে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। বিশ্বস্ত কোনো সাইট না হলে সেখানে ঢুকবেন না।
*অনেকেই এন৯৫ মাস্ককে সার্জিক্যাল মাস্কের চেয়ে ভালো বলে অনলাইনে দাবি করতে পারেন। এসব বিষয় পাত্তা দেবেন না। এ ভাইরাস এতটাই ক্ষুদ্র যে তা এস৯৫ মাস্কের ভেতর দিয়েও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই অনলাইনে কোন মাস্ক সেরা, তা নিয়ে বিতর্কে না যাওয়াই ভালো।
*এখন মানুষ ভিডিওতে আস্থা রাখে বেশি। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক ইউটিউবার এ সুযোগ নিয়ে ইউটিউবে ভুল তথ্য দিচ্ছেন।এসব তথ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মনগড়া তথ্য হতে পারে। তাই চিকিৎসকের সামনাসামনি পরামর্শ ব্যতীত অনলাইনে কোনো বিশেষজ্ঞ দাবি করা ইউটিউবারের তথ্যে ভরসা রাখবেন না।
*করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার হোয়াটসঅ্যাপে আসা কোনো বার্তা বিশ্বাস করবেন না। এমনকি টিকটক ভিডিওতেও বিশ্বাস করবেন না। সাইবার দুর্বৃত্তরা নানা উপায়ে আপনাকে এসব তথ্য ছড়াতে এবং বিশ্বাস করতে সাহায্য করবে। অনেক সময় আপনার ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধুর অ্যাকাউন্ট থেকেও এসব লিংক আসতে পারে।
No comments:
Post a Comment