ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতার চূড়ার খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলেন এব্রাহিম রাইসি। এর একবারে শীর্ষে চলে যাবেন তিনি এমনটাও প্রবলভাবে মনে করা হচ্ছিল। তবে একটি নাটকীয় মোড় তার সব হিসাবনিকাশ পাল্টে দিয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির স্থান কে নেবেন তা নিয়ে বাড়তে থাকা জল্পনার অবসান ঘটিয়েছে রোববার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তার মৃত্যুর ঘটনা। ৮৫ বছরের মি. খামেনির শারীরিক অবস্থা অনেকদিন ধরেই আগ্রহের কেন্দ্রে।
ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্টের এই করুণ পরিণতিতে সে দেশের নীতি অথবা ইসলামি প্রজাতন্ত্রে কোনো গুরুতর ঝাঁকুনি দিবে তেমনটা মনে করা হচ্ছে না।
তবে এই ঘটনা এমন একটা ব্যবস্থাকে পরীক্ষা করে দেখবে যেখানে রক্ষণশীল কট্টরপন্থীরা (তা সে নির্বাচিত হোক, বা অনির্বাচিত হোক) ক্ষমতার সমস্ত ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করে।চ্যাথাম হাউস থিংক ট্যাংকের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচির পরিচালক ড. সানাম ভাকিল বলেন, "এই ব্যবস্থা তার (এব্রাহিম রাইসির) মৃত্যুকে ব্যাপকভাবে প্রদর্শন করবে এবং তার (ওই ব্যবস্থার) কার্যকারিতা দেখানোর জন্য সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে চলবে। এর পাশাপাশি এমন একজনেরও খোঁজ চালানো হবে যিনি মি. খামেনির প্রতি আনুগত্য দেখাবেন এবং একইসঙ্গে রক্ষণশীল ঐক্য বজায় রাখতে পারবেন।
তার বিরোধীরা অবশ্য ১৯৮০-এর দশকে রাজনৈতিক বন্দিদের গণমৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে নির্ধারকের ভূমিকা পালন করার অভিযোগে অভিযুক্ত এই সাবেক প্রসিকিউটরের প্রস্থানকে স্বাগত জানাবে। যদিও মি. রাইসি তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন।
অন্যদিকে, তার বিরোধীরা এটাও আশা করবে যে এব্রাহিম রাইসির প্রস্থান রক্ষণশীল শাসন ব্যবস্থার অবসান ত্বরান্বিত করবে।
ইরানের ক্ষমতাসীন রক্ষণশীলদের জন্য এব্রাহিম রাইসির রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটা আবেগে ভরা উপলক্ষ হতে চলেছে বলেই মনে করেন ড. ভাকিল।
মি. রাইসির মৃত্যুর পর রক্ষণশীলরা যে শাসন চালিয়ে যেতে প্রস্তুত সে বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে সংকেত পাঠানোর শুরু করারও সুযোগ পাবে।
সূত্র:- BBC Bangla News
লিজ দুসেত
- চিফ ইন্টারন্যাশনাল করেসপন্ডেন্ট
No comments:
Post a Comment